cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ট্রাভেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্রে সাক্ষী হয়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক কুরআনে হাফেজ। এমনকি ট্রাভেল ব্যবসায়ীকে না পেয়ে সাক্ষী ওই কুরআনে হাফেজকে জিম্মি করে ৫ লাখ টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর বোন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মায়েরকুল গ্রামের মো. নুরুল হকের মেয়ে সুফিয়া বেগম।
লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জানান- তার আপন ভাই হাফিজ কারি মো. আজিজুর রহমান বর্তমানে সিলেটের জালালাবাদ থানার আখালিয়া নয়াবাজারের বাসিন্দা। আজিজ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পাশাপাশি তিনি মায়েরকুল জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি ও মায়েরকুল জামে মসজিদের দারুল কেরাত মজিদিয়া ফুলতলি ট্রাস্ট শাখার শিক্ষাসচিব। ছাতকের ঝামক গ্রামের মৃত আশক আলীর ছেলে সুজন মিয়া এবং সিলেট মহানগরের ইদ্রিস মার্কেটস্থ রাহাবার ট্র্যাভেলস-এর স্বত্বাধিকারী ও ছাতক উপজেলার জিয়াপুর গ্রামের আনা মিয়ার ছেলে নুর আহমদ নোমান তার পূর্ব পরিচিত। অপরদিকে, সুজন মিয়ার বাড়িতে লজিং মাস্টার ছিলেন নুর আহমদ, ফলে তারাও পরষ্পর বেশ ঘনিষ্ট। এই সুবাধে কয়েক মাস আগে সুজন মিয়ার ছেলে শাওন আহমদকে লন্ডন পাঠানোর জন্য ট্রাভেল ব্যবসায়ী নুর আহমদের সাথে আলাপ হয়। এই বিষয়ে তাদের মাঝে ২৩ লক্ষ টাকা আদান-প্রদানের লিখিত চুক্তি হয় এবং দুজনের অনুরোধে সে চুক্তিপত্রে হাফিজ আজিজ সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু পরবর্তীতে শাওনকে লন্ডন পাঠাতে ব্যর্থ হন নুর আহমদ। এতে সুজন ও নুর আহমদের মাঝে বিরোধ তৈরি হয়। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে নুর আহমদ নোমানের অফিসে ২৩ সেপ্টেম্বর বৈঠক হয়। বৈঠকে হাফিজ আজিজ ও আরও কয়েকজন মুরুব্বি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে নুর আহমদ ১ মাসের মধ্যে সব টাকা ফেরত দিবেন বলে জানান। কিন্তু এর মাঝে গত ২১ অক্টোবর বেলা ২টার দিকে সুজন মিয়া মোবাইল ফোনে দরগাহ গেইট এলাকার শাহজালাল রেস্টুরেন্টে ডেকে নিয়ে যান আজিজকে। আলোচনার এক পর্যায়ে আজিজকে সুজন মিয়া ট্রাভেল ব্যবসায়ী নুর আহমদকে খুঁজে দিতে চাপ দেন। তখন নুর আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে আজিজ জানালে সুজন উত্তেজিত হয়ে তিনি ও তার সহযোগীরা আজিজকে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাতে তুলে মুখ ও হাত-পা বেঁধে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল রোডের একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখেন সুজন। এ সময় চাকু ধরে আজিজের বোন ও চাচাকে ফোন দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা এবং চেক বই নিয়ে আসতে বলেন অপহরণকারীরা। আজিজকে বাঁচাতে সেদিন রাতে তার চাচা ও স্ত্রীর বড় ভাই ৫ লক্ষ টাকা এবং চেক বই নিয়ে ওই বাসায় নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ামাত্র তাদেরও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সুজন মিয়া এবং তার সহযোগীরা কয়েকটি চেকের পাতায়, ১০০ টাকার ৩টি সাদা স্ট্যাম্পে এবং সাদা কাগজে আজিজের স্বাক্ষর নেয়। এছাড়া আজিজের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রও ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরে এ বিষয়ে হাফিজ আজিজ সিলেট জালালাবাদ ও কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু থানাপুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে তিনি আদালতে একটি মামলা (কোতোয়ালি সি.আর-১৩৩৫/২০২৪) দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর হাফিজ আজিজের প্রতি সুজন মিয়ার তীব্র আক্রোশ বেড়ে যায় বলে জানান সুফিয়া বেগম। তিনি বলেন- তাদের পরিবারের সবাইকে মামলা-হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে অবিরত। এমনকি আজিজকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন সুজন মিয়া, মামলা তুলে নিতে দিচ্ছেন অবিরাম চাপ। এ অবস্থায় তারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে আত্মগোপনে আছেন, ভোগছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়।
সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন হাফিজ আজিজুর রহমানের বোন সুফিয়া বেগম। বিজ্ঞপ্তি